এক স্থান থেকে আর এক স্থানে তথ্যের আদান-প্রদান করাকে নেটওয়ার্ক বলে। এক যন্ত্র থেকে আর এক যন্ত্রে তথ্যের আদান-প্রদান করাকে নেটওয়ার্ক বলা হয়। আমি বইয়ে কিছু তথ্য লিখেছি যা আপনি গ্রহন করছেন। এখানেও তথ্যের আদান-প্রদান হচ্ছে এটাও এক প্রকার নেটওয়ার্ক। এখানে বই মিডিয়া হিসেবে কাজ করছে। আমি একজন মানুষ মঞ্চে বক্তব্য রাখছি এবং বাকী সবাই শুনছে। এটাও একপ্রকার নেটওয়ার্ক। আমি একজনের সাথে গল্প করছি। এখানে তার এবং আমার মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান হচ্ছে এটাও এক প্রকার নেটওয়ার্ক। যেহেতু মানুষের সাথে মানুষের তথ্যের আদান প্রদান হচ্ছে তাই এ নেটওয়ার্কের নাম দেওয়া যেতে পারে মানুষের নেটওয়ার্ক। পাখিরাও কিচিরমিচির করে নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করে এ নেটওয়ার্ক কে পাখিদের নেটওয়ার্ক বলা যেতে পারে। একজন চীনা মানুষ আমার সাথে কথা বলছে কিন্তু আমি তার কথা বুঝতে পারছি না। এটাকে নেটওয়ার্ক বলা যাবে না। একজন দোভাষী চীনার কথা গুলো আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, তাহলে এটাকে নেটওয়ার্ক বলা যেতে পারে। এখানে দোভাষী হচ্ছে মিডিয়া। শুধু তথ্য আদান প্রদান করলেই হবে না, তথ্য গুলো অবশ্যই একে অপরের বোধগম্য হতে হবে।
ব্লগ পাতাগুলো
কিছু খুঁজছি, তাহলে এখানে।
ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট (Browsing) ব্রাউজিং।
ইন্টারনেট শব্দটি দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত।
Inter অর্থ অন্ত এবং
network এর net নিয়ে ইন্টারনেট শব্দটি গঠিত। আন্ত নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্কের ভিতরে নেটওয়ার্ক কে ইন্টারনেট বলা হয়। এক কথায় নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক কে ইন্টারনেট (Internet) বলে।
ধরা যাক, পঞ্চগড়ে একটা ল্যান (LAN) বা ম্যান (MAN) আছে। রংপুরে একটা ম্যান (MAN), ঢাকায় একটা ম্যান (MAN), কানাডার টরন্টো তে একটা ম্যান (MAN), ভারতের দিল্লীতে আর একটা ম্যান (MAN) আছে। এবার সবগুলো ম্যান (MAN) বা ল্যান (LAN) একসাথে সংযুক্ত হয়ে বড় আর একটি নেটওয়ার্ক গঠন করলো। এটাকে ইন্টারনেট বলা যেতে পারে। এভাবে পৃথিবী ব্যাপী বিস্তৃত বিভিন্ন কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থেকে তথ্যের আদান-প্রদান করছে। আমাদের প্রতিটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হলে তা প্রথমে কোন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয় তারপর পৃথিবীব্যাপী সমস্ত কম্পিউটারে সংযুক্ত হয়। মোবাইলে গ্রামীন সিম থাকলে মোবাইলটি প্রথমে গ্রামীন নেটওয়ার্কে সংযোগ স্থাপন করে তারপর ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়।
Visit Web Site, Search Engine (Google, Yahoo, Wikipedia Etc).
Visit Web Site
কম্পিউটার বা যেকোন ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্যে যেকোন ওয়েব সাইট ভিজিট করার পূর্বে প্রথমে কম্পিউটারকে ইন্টারনেটের সাথে কানেকশন দিতে হবে এবং কাঙ্খিত ওয়েব সাইটের এড্রেস সংগ্রহে রাখতে হবে। তারপর-
Ø স্টার্ট ম্যানুর সাহায্যে আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল কৃত ব্রাউজার রান করুন। উদাহরন হিসেবে মাইক্রোসফট ইডজ দেখানো হলো। ফলে চিত্রের ন্যায় উইন্ডোজ চালু হবে।
ই-মেইল E-mail কি? Create an e-mail account, Send email.
ই-মেইল E-mail
ইমেইল (E-mail) শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত।
Electronic এর E এবং Mail সমন্বয়ে ইমেইল শব্দটি গঠিত।
Electronic এর বাংলা বৈদ্যুতিক এবং
Mail এর বাংলা বার্তা বা মেসেজ। সুতরাং ইমেইল এর অর্থ বৈদ্যুতিক বার্তা। প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইস যেমন কম্পিউটার বিদ্যুৎ এর উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির উপর (1,0) ভিত্তি করে কাজ করে। অর্থ্যাৎ ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে মেসেজ আদান-প্রদান করাকে ইমেইল বলে।
ইমেইল হলো এক ধরনের Online services যার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিচিত অন্য আরেক জনের ইমেইলে আপনার লেখা বার্তা প্রেরণ করতে পারবেন, যেমন আগের দিনে আমরা কারো কাছে চিঠি পাঠাতাম কিন্তু এখন এই চিঠির কাজ এই ইমেইলের মাধ্যমে করা হয়। ইমেইল এর কার্যকারিতা খুবই দ্রুত। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এক ডিজিটাল ডিভাইস হতে আর এক ডিজিটাল ডিভাইসে ইমেইল আদান-প্রদান করা যায়। আর এটাই হলো ইমেইলে সবচাইতে বড় পাওয়া। ইমেইল সার্ভিস গ্রহন করার জন্য নির্দিষ্ট ইমেইল সার্ভারের (কোম্পানী) রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। যেমন ভাবে মোবাইল নাম্বার গুলো বিভিন্ন কোম্পানী অধীন। ০১৭ কোড দিয়ে শুরু মোবাইল নাম্বারগুলো গ্রামীন কোম্পানী অধীন। ০১৫ হচ্ছে টেলিটক, ০১৯ বাংলালিংক ইত্যাদি। মোবাইল নাম্বারের শুরুর এই কোড গুলো ইচ্ছা করলেই পরিবর্তন করা যায় না। গ্রামীনফোনের একটি সিম কিনতে চাইলে নাম্বাটির শুরুতে ০১৭ থাকবেই। এর পরের আটটি ডিজিট আমার ইচ্ছামতো পছন্দ করতে পারি, সেক্ষেত্রে ঐ ডিজিটের সিমটি অবিক্রিত থাকতে হবে।