কিছু খুঁজছি, তাহলে এখানে।

১.৬ অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) কি? বিভিন্ন প্রকার অপারেটিং সিস্টেম।

Operator থেকে Operating শব্দের উৎপত্তি Operating শব্দের অর্থ পরিচালনা System শব্দের অর্থ পদ্ধতি Operating System শব্দের অর্থ পরিচালনার পদ্ধতি এখানে অপারেটিং সিস্টেম বলতে কম্পিউটার পরিচালনা পদ্ধতিতে বুঝায় অপারেটিং সফটওয়্যার একটি সিস্টেম সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম একটি কম্পিউটার সিস্টেমকে পরিচালনা করে


আজ থেকে ১৫২০ বছর আগে প্রত্যেকটি বিয়েতে মাইক থাকতো মাইক না হলে বিয়ে অসম্ভব প্রায় বর পক্ষ মাইকটি ভাড়ায় নিয়ে আসতো মাইক ওয়ালা মাইকের সাথে একজন লোক দিতেন যার কাজ ছিল কখন কোন গান চলবে, কখন গীত (মহিলাদের এক প্রকার গান) গাওয়ার জন্য মাইকটি উপযুক্ত করতে হবে কোথায় কি কানেকশন দিতে হবে এককথায় মাইকের যাবতীয় কাজ তাকে করতে হবে আমরা এই লোকটাকে বলতাম মাইকের অপারেটর বর্তমানে পিকনিক মাইক বা স্পিকার সেটের সাথে একজন লোক নিয়ে যায় তাকেও মাইকের অপারেটর বলা হয় যেহেতু তিনি মাইক পরিচালনা করেন তাই তাকে মাইকের অপারেটর বলা হয়

অপারেটিং সিস্টেম অনেকগুলা সফটওয়্যারের সমষ্টি যে সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার রিসোর্স সমূহকে পর্যবেক্ষন, নিয়ন্ত্রন পরিচলানা করে এবং সাধারন সেবা প্রদান করে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন মাইক্রেসফট ইউন্ডোজ, লিনাক্স, এনড্রয়েড ইত্যাদি হার্ডওয়্যারের উপর অপারেটিং সিস্টেম, অপারেটিং সিস্টেম এর উপর এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাজ করে

অপারেটিং সিস্টেম এর প্রকারভেদ

ইউজার ইন্টারফেস অনুসারে অপারেটিং সিস্টেম মোট দুই প্রকার যথা

) বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম (Text Based Operating System) :


যে অপারেটিং সিস্টেমে কীবোর্ড থেকে বিভিন্ন বর্ণ, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি টাইপ করে এবং কীবোর্ড থেকে বোতাম চেপে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয় তাকে বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম বা Text Based Operating System বলে বর্ণের সাহায্যে পরিচালনা করতে হয় এজন্য একে বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম বলা হয় বর্তমান বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার খুব কম উদাহরন – DOS (Disk Operating system), Unix, Linus ইত্যাদি

আপনার কম্পিউটারের সার্চ বক্সে CMD টাইপ করে CMD প্রোগ্রাম রান করলে উপরের চিত্রের ন্যায় লুক আসবে বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ঠিক এরকম স্কিনে কোন ধরনের আইকন বা চিত্র থাকবেনা বিভিন্ন ধরনের কমান্ডের সাহায্যে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ নির্বাহ করা হয়

) চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম (Graphic user Interface) :

যে অপারেটিং সিস্টেমে গ্রাফিক্স বা চিত্রের মাধ্যমে নির্দেশ প্রয়োগ করে কম্পিউটার পরিচালনা করা হয় তাকে চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমা বলে চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ব্যবহারের সকল প্রকার কাজই করতে হয় বিভিন্ন প্রকার আইকন পুল ডাইন মেনু ব্যবহার করে আইকন পুল ডাইন মেনু কমান্ড নির্বাচন করতে হয় মাউসের মাধ্যমে কীবোর্ড দিয়েও কমান্ড প্রয়োগ করা যায় বর্তমানে বেশীর ভাগ ব্যবহারকারীরা চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে কীবোর্ড অথবা মাউসের সাহায্যে বিভিন্ন চিত্র বা আইকন ক্লিক ক্লিক করে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ নির্বাহ করা হয়  উদাহরন – window 10 সহ window Operating system এর সকল ভার্সন

প্রোগ্রাম নির্বাহের ধরন ব্যবহারকারীর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যথা

) ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Batch Processing Operating System) :

ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমে একটির পর একটি ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহ করা হয় যখন যে প্রোগ্রাম নির্বাহ করা হয় তখন যাবতীয় শক্তি প্রোগ্রামের জন্য নিবেদিত থাকে সিস্টেমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি প্রোগ্রাম কিছু সমবত্যাপী সংগৃহীত ডাটা প্রসেস করার পর অন্য আরেকটি প্রোগ্রাম বা অন্য ডেটা প্রসেস করা হয় যেমন একটি ব্যাংকে সারাদিনের বিভিন্ন একাউন্ডের লেনদেন হিসাব একটি নির্দিষ্ট স্টোরেজ জমা হয় দিন শেষে একসাথে সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রসেস করে

) রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম (Real Time Operating System) :

রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেমে প্র্রোগ্রাম নির্বাহের অনুরোধ পাওয়া মাত্র প্রোগ্রাম নির্বাহের কাজ শুরু করে যখনই অনুরোধ আসবে তখনই প্রোগ্রাম নির্বাহ শুরু হবে তাই একে রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম বলে

) মাল্টি প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Multi-Processing Operating System) :

 কোন কম্পিউটার সিস্টেমে একাধিক প্রসেসরের সাহায্যে প্রোগ্রাম প্রসেস করা হলে তাকে মাল্টিপ্রসেসিং এবং কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমটিকে বলা হয় মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম

) মাল্টি প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম (Multi Programing Operating System) :

মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং  সিস্টেমে একটি কম্পিউটার এক সঙ্গে একাধিক প্রোগ্রাম চালাতে পারে অথবা ডেটা প্রসেস করতে পারে

) টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম (Time Sharing Operating System) :

যে অপারেটিং সিস্টেমে প্রসেসিং সময়কে বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে দেয়, সে অপারেটিং সিস্টেমকে টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম বলে টাইম শেয়ারিং পদ্ধতিতে একাধিক ব্যবহারকারী নিজ নিজ টার্মিনালে বসে তাদের স্বস্ব প্রোগ্রাম একটি কম্পিউটারের সিপিইউতে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে

) ভার্চুয়াল স্টোরেজ অপারেটিং সিস্টেম (Virtual Storage Operating System) :

অনেক সময় বড় প্রোগ্রাম নির্বাহ করার জন্য অনেক বড় প্রধান মেমরী (যেমন : ্যাম) এর দরকার হয় প্রধান মেমরীর স্বল্পতা বা সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য সেকেন্ডারী (হার্ডডিস্ক) মেমরী প্রধান মেমরী হিসেবে ব্যবহার করা হয় একে ভার্চুয়াল মেমরী বলে ভার্চূয়াল মেশিন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সেকেন্ডারী অর্থাৎ ভার্চুয়াল মেমরীতে প্রবেশ করতে প্রোগ্রাম কে অনুমতি দেয

নোট: এই প্রক্রিয়ায় অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ বিভিন্ন বইয়ে বিভিন্ন দেওয়া আছে

4 comments:

  1. Sundor kore bujhate perecen ops k tnx

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পরিচিত সবার সাথে ওয়েব সাইট লিংক শেয়ার করুন।

      Delete
  2. Replies
    1. আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পরিচিত সবার সাথে ওয়েব সাইট লিংক শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।

      Delete

Thank for your comment

”কোটেশন”

ডিজিটাল শিক্ষা গ্রহন করি। নিজে ডিজিটাল হই। দেশকে ডিজিটাল করি। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

সাইটটি ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন