স্লাইড কে আকর্ষনীয় করার জন্য স্লাইড ডিজাইন জরুরী। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে Design Tab এর অধীনে বিভিন্ন ডিজাইন এ্যাপ্লাই করা হয়। ‘PowerPoint 01’ ফাইলটি ওপেন করি। এবার Design tab এ ক্লিক করলেই চিত্রের ন্যায় বিভিন্ন ডিজাইন বিশিষ্ট আইকন দেখা যাবে। ডিজাইন টেমপ্লেটের একটি একটি করে আইকনে ক্লিক করলে প্রার্থক্য বুঝতে পারবো। পছন্দের ডিজাইন এ ক্লিক করে ফাইলটি সেভ করলেই কাঙ্খিত ডিজাইন এপ্লাই হয়ে যাবে।
Customize Design: প্রদত্ত ডিজাইন পছন্দ না হলে ইচ্ছামতো ডিজাইন তৈরি করা যাবে।
Slide Size: Design Tab এর
Customize গ্রুপ হতে
Slide Size আইকনে ক্লিক করি। ফলে স্লাইড সাইজের দুইটি অপশন পাওয়া যাবে। পছন্দের অপশনে ক্লিক করে স্লাইড সাইজ পরিবর্তন করতে পারি। এছাড়া Custom Slide Size কমান্ড এ ক্লিক করে ইচ্ছামতো Wide এবং Height বসিয়ে স্লাইড সাইজ পরিবর্তন করা যায়।
Format Background:
ধরা যাক ‘PowerPoint 01’ পেজেন্টেশন ফাইলটি প্রতিটি
স্লাইডের ব্যকগ্রাউন্ড কালার হলুদ করতে হবে। এজন্য -
Ø Design Tab এর
Customize গ্রুপ হতে
Format Background আইকনে ক্লিক। ফলে চিত্রের ২য় অংশের ন্যায় স্লাইডের ডান পাশে নতুন
Navigation pane আসবে।
Ø Solid fill সিলেক্ট করি।
Ø নিচে Color আইকনের ডানপাশে কালার পিকার আইকনে ক্লিক।
Ø পছন্দের কালার অর্থ্যাৎ হলুদ কালারের উপর ক্লিক। ফলে পছন্দের কালারটি সিলেক্টকৃত স্লাইডে এ্যপ্লাই হবে।
Ø ঐ কালারটি প্রতিটি স্লাইডে এ্যপ্লাই করতে চাইলে নিচে Apply to all আইকনে ক্লিক। Reset
Background এ ক্লিক করলে স্লাইডটি By Default কালারে চলে আসবে।
Transparency এর বাংলা স্বচ্ছতা।
Transparency যত বেশী হবে কালারটি তত স্বচ্ছ হবে। অর্থ্যাৎ কালারের ডিপ তত কম হবে।
এছাড়া আরো বেশ কয়েকটা অপশন আছে। যেমন-
1.
একই স্লাইডে একাধিক ব্যাকগ্রাউন্ড কালার করতে
Gradient fill ব্যবহার করতে হয়।
2.
স্লাইডের ব্যকগ্রাউন্ডে ইমেজ বা পিকচার এ্যড করতে Picture ব্যবহার করতে হয়।
3.
স্লাইডের ব্যকগ্রাউন্ডে প্যাটার্ন ব্যবহার করতে Pattern ব্যবহার হয়।
Gradient, Picture, Pattern নিজে নিজে প্রাকটিস করি।
Transition
The process or a period of
changing from one state or condition to another. এক অবস্থা থেকে অন্য এক অবস্থায় পরিবর্তিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কে Transition বলে। কিন্তু এমএস পাওয়ার পয়েন্টের ক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশনের সময় এক স্লাইড হতে অন্য স্লাইডে রুপান্তরিত
(যাওয়ার
সময়)
হওয়ার
সময়
যে
ধরনের
ইফেক্ট
হয়
তাকে
Transition বলে। পাওয়ার পয়েন্টে Transition নামে একটা ট্যাব আছে।
প্রেজেন্টেশনের একটি ফাইল (‘PowerPoint 01’) রান করি।
Ø Transition ট্যাবে ক্লিক করি, ফলে Transition to the Slide নামে গ্রুপ পাওয়া যাবে।
Ø Cut, Fade, Shape, Flash, Crush ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ট্রানজেকশন ইফেক্ট পাওয়া যাবে। প্রতিটি ইফেক্ট এ একবার করে ক্লিক করি এবং স্লাইডে কি ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে তা লক্ষ্য করি। তাহলে ট্রানজেকশন ইফেক্ট সহজে বুঝা যাবে।
Ø এবার পছন্দের ট্রানজেকশন
ইফেক্টটি (এখানে Push) ক্লিক করে সিলেক্ট করি। (ট্রানজেকশন ইফেক্টটি উপর থেকে নিচে নামবে নাকি নিচ থেকে উপরে উঠবে। ডান থেকে বামে নাকি বাম থেকে ডানে যাবে।
তা
ইফেক্ট
অপশন
(Effect option) থেকে সিলেক্ট করা যাবে।)
Sound:
Sound আইকনের সাহায্যে স্লাইড ট্রানজেকশনের সময় মিউজিক এড করা যাবে। Sound আইকনের ড্রপডাউনে
ক্লিক
করলে
সাউন্ডের
লিস্ট
পাওয়া
যাবে। লিস্ট হতে পছন্দের সাউন্ড ক্লিক করি, ফলে স্লাইড পরিবর্তনের সময় উক্ত
মিউজিক
শুনা্ যাবে।
Duration:
স্লাইড
ট্রানজেকশনে
প্রয়োগকৃত
ইফেক্ট
ব্যাপ্তি
কত
সেকেন্ড
হবে
তা
ঠিক
করা
যাবে। সময় অল্প দিলে যেমন ০১ সেকেন্ড,
তাহলে
দ্রুত
স্লাইডটি
পরিবর্তন
হবে। সময় যত বেশী দিবেন
স্লাউডটি তত আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হবে।
Apply To Al:
Apply To All ক্লিক করলে প্রয়োগকৃত ইফেক্ট সব স্লাইডে কার্যকর হবে। আর তা না হলে ইফেক্ট শুধুমাত্র কারেন্ট স্লাইডে কার্যকর হবে।
After:
After এর মাধ্যমে টাইম সেট করে দেওয়া যাবে। কত সময় পরে স্লাইডটি অটোমেটিক পরিবর্তন হবে। অবশ্যই ঠিক মার্ক করতে হবে। ধরা
যাক টাইম দিলাম ০১:১০:০০ তাহলে স্লাইডটি ঠিক এক মিনিট দশ সেকেন্ড পর পরিবর্তিত হয়ে
পরের স্লাইডে যাবে।
On Mouse Click:
এক স্লাইড থেকে অন্য স্লাইডে যাওয়ার জন্য কীবোর্ডের বাম বা ডান এ্যরো প্রেস করতে হয়।
On Mouse Click মার্ক করা থাকলেই শুধুমাত্র মাউস ক্লিক করে পরবর্তী স্লাইডে যাওয়া যাবে।
No comments:
Post a Comment
Thank for your comment