কিছু খুঁজছি, তাহলে এখানে।

MS Word Interface Identification (পরিচিতি)।

Microsoft Office Word (MS Word) ওপেন করার নিয়ম -

এমএসওয়ার্ড প্রোগ্রামের সাহায্যে কাজ করার পূর্বে অবশ্যই এমএসঅফিস প্যকেজটি ইনস্টল করতে হবে ইনস্টল ইতিমধ্যে শিখে আসছি তাছাড়া ট্রেনিং সেন্টারের কম্পিউটারে সব ধরনের সফটওয়্যার আইটি সাপোর্ট স্টাফরা ইনস্টল করে রাখে এম এস অফিস সহ যেকোন ধরনের প্রোগ্রাম রান বা চালু করার পদ্ধতি একই রকম যা আমরা শিখে আসছি স্টার্ট ম্যানুর সাহায্যে অথবা শটকার্ট পদ্ধতিতে এমএসওয়ার্ড চালু করতে পারি স্টার্ট ম্যানুর সাহায্যে চালু করার জন্য- 


Ø স্টার্ট বাটনে ক্লিক, স্টার্ট ম্যানু হতে এমএস ওয়ার্ড খুজে বের করে ক্লিক ফলে ডানদিকে New অপশন গুলো প্রদর্শিত হবে

Ø ডানদিকে এমএস ওয়ার্ড এর অনেকগুলো টেমপ্লেট অপশন দেখা যাবে নতুন ডকুমেন্ট এর জন্য Blank Document ক্লিক ফলে এমএস ওয়ার্ড সাদা বা ফাঁকা পেজ নিয়ে চালু হবে।  

Microsoft Word এর বিভিন্ন উপাদান সমূহ

অফিস বাটন :


এম .এস. ওয়ার্ড ২০০৭ উইন্ডোজ এর সবার উপরে বাম  কর্ণারে    এই আইকন থাকে এটাকে অফিস বাটন বলে (২০১০ এবং পরবর্তী প্রতিটি ভার্সনে অফিস বাটন File রুপান্তরিত হয়েছে) অফিস বাটন বা ফাইল (File) বাটনে ক্লিক করলে সাধারণ কিছু কমান্ড যেমন: Open, Save, New  Print ইত্যাদি দেখা যাবে

টাইটেল বার :


Title এর বাংলা হচ্ছে উপাধি বা পদবি অথবা নাম তাহলে বলা যায় যে বারে ডকুমেন্ট এর নাম প্রদর্শিত হয় তাকে টাইটেল বার বলা হয় এম.এস. ওয়ার্ড প্রোগ্রামের সবার উপরে যেখানে ডকুমেন্ট এর নাম যেমন Document1 লেখা থাকে তাকে টাইটেল বার বলে এমএস ওয়ার্ডে যে ফাইলটি ওপেন থাকে টাইটেল বারে তার নাম প্রদর্শিত হবে


Quick Access Tool Bar:

টাইটেল বারের বাম পাশে অফিস বাটনের ঠিক উপরে কুইক এ্যকসেস টুলবার অবস্থিত বারে কমান্ড এড করে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করা যায় জন্য বারকে কুইক এ্যকসেস টুলবার বলে

Window control Bar:

 টাইটেল বারের ডান পাশে ক্লোজ, ম্যক্সিমাইজ, মিনিমাইজ বাটন থাকেসবগুলোকে একসাথে Windows Contral Bar বলে

 মিনিমাইজ (-):  মাইনাস (-) এটাকে মিনিমাইজ বলেধরা যাক বড় ধরনের কোন ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করছিঅনেক সময় ধরে কাজ করার কারনে হালকা ঝিমুনি আসছেফানি ডিডিও কিংবা গান শুনলে ভালো লাগবেফানি ডিডিও চালু করতে চাইকিন্তু এমএসওয়ার্ড প্রোগামটি সমস্থ পর্দাব্যপী ছড়িয়ে আছেক্লোজ করলে প্রোগ্রামটি বন্ধ হয়ে যাবেএমএস ওয়ার্ড প্রোগ্রামকে পর্দা থেকে সরিয়ে চালু রাখা জন্য মিনিমাইজ আইকন (-) ব্যবহার করতে হয়এই আইকনে ক্লিক করলে প্রোগ্রাম পর্দা থেকে সরে টাস্কবারে হাইড হয়ে যাবে

ম্যক্সিমাইজ: Windows Control Bar এর মাঝখানে ডাবল চতুর্ভুজ অথবা সিঙ্গেল চতুর্ভুজ ছোট আইকন থাকে ডাবল চতুর্ভুজ হলে তাকে Restore Down বলে অবস্থায় ক্লিক করলে প্রোগ্রামটি সমস্থ পর্দা হতে অর্ধেক পর্দা হয়ে যাবে আইকনটি ডাবল চতুর্ভুজ হতে সিঙ্গেল চতুর্ভুজ হবে সিঙ্গেল চতুর্ভুজ আইকনকে ম্যক্সিমাইজ (Maximize) বলে প্রোগ্রামকে সমস্ত পর্দাব্যপী ছড়িয়ে পড়ার জন্য ম্যক্সিমাম আইকন ব্যবহার করা হয়

Close (×): ক্লোজ আইকনে ক্লিক করলে প্রোগ্রামটি বন্ধ হয়ে যাবে

রিবন (Ribbon) :

Ribbon এর বাংলা হচ্ছে ফিতা আমরা সাধারণত ফিতা দিয়ে কোন কিছু বেধে রাখি অনুরুপ ভাবে রিবন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর বিভিন্ন কমান্ড আইকনকে একসাথে বেধে রাখে টাইটেল বারের ঠিক নিচে অল্প প্রসস্থ অনুভূমিক ভাবে অবস্থান করে রিবন কয়েকটি ট্যাব নিয়ে গঠিত যেমন- Home Tab, Insert Tab, View Tab ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ট্যাবের জন্য রিবন ভিন্ন ভিন্ন হয় Home Tab, Insert Tab, View Tab ক্লিক করে দেখে নিতে পারি


 


গ্রুপ
:

প্রত্যেকটি রিবন এর কাছাকাছি সম্পর্কযুক্ত কমান্ড গুলো একসাথে আলাদা করা আছে এদেরকে গ্রুপ বলে যেমন- Home Tab রিবনের Font গ্রুপ Paragraph গ্রুপ চিত্রে Font গ্রুপ দেখানো হয়েছে

ডকুমেন্ট বা টেক্সট এরিয়া  :

রিবনের নিচে অপেক্ষাকৃত বেশী ফাঁকা সাদা অংশ যেখানে লেখালেখি গুলো প্রদর্শিত হয় তাকে ডকুমেন্ট এরিয়া বলে

ইনশার্সন (Insertion) পয়েন্ট:

Insert থেকে Insertion. ডকুমেন্ট এরিয়ার মধ্যে দাড়ি আকৃতির একটা চিহ্ন সব সময় অন অফ হতে থাকে একে ইনশার্সন পয়েন্ট বলে ইনশার্সন পয়েন্ট যেখানে অবস্থান করে সেখান থেকে ডাটা এন্ট্রি শুরু হয়

স্ক্রলিং (Scroll) বার :

অনেক সময় ডিসপ্লে ছোট অথবা ডকুমেন্ট বড় হওয়ার কারনে ডকুমেন্ট এর কিছু অংশ ডানে-বামে অথবা উপরে-নিচে হাইড (লুকায়িত) হয়ে যেতে পারে ডানে-বামে অথবা উপরে-নিচের লুকায়িত অংশ প্রদর্শিত করার জন্য স্ক্রলিং বার ব্যবহার করা হয় উপরে-নিচে স্ক্রলিং বার উইন্ডোজের ডানে অবস্থান করে একে ভার্টিক্যাল (Vertical) স্ক্রলিং বার বলে ডানে-বামে স্ক্রলিং বার উইন্ডোজের নিচে অবস্থান করে একে হরিজন্ট্যাল (Horizontal) স্ক্রলিং বার বলে মাউসের চাকা ঘুরালে উপর-নিচে স্ক্রলিং হয় স্ক্রলিং কাজটি ভালো ভাবে বুঝার জন্য ‘Excerise File’ ফোল্ডার এর ‘Word’ ফোল্ডার হতে Editing নামক ফাইলটি ওপেন করি

(বি:দ্র: অনুশীলন করার জন্য ‘Excerise File’ নামক অনুশীলন ফাইলটি লেখক হতে সংগ্রহ করতে হবে সংগৃহীত ফোল্ডারটি আপনার কম্পিউটারের ডেস্কটপে কপি রাখা ভালো)

ফাইলটি অনেক বড় হওয়ার কারনে নিচের কিছু অংশ পর্দায় দেখা যাচ্ছে না

    Ø মাউসের চাকাটি সামনে পিছনে ঘুরাঘুরি করি, ফলে লেখাগুলো উপর নিচ হবে ফলে নিচের লুকায়িত লেখা গুলো দেখা যাবে

    Ø ডান পাশে লম্বালম্বি একটা চিহ্ন মাউসের চাকার সাথে সাথে উপর নিচ হবে এটাকে স্ক্রলিং বার বলে এবং এটা ভার্টিক্যাল স্ক্রলিং বার

    Ø এবার Ctrl চেপে ধরে মাউস এর চাকা সামনে পিছনে ঘুরাঘুরি করে জুম ২৫০% বা তারও বেশী বৃদ্ধি করি ফলে স্কিনের নিচের দিকে ভার্টিক্যাল বারের মতো ভূমির সমান্তরাল একটা বার দেখা যাবে এটাকে হরিজন্টাল স্ক্রলিং বার বলে

    Ø মাউসের ল্যাপ্ট বাটন চেপে ধরে অর্থাৎ ড্রাগ এর সাহায্যে মাউস ডানে বামে সরানোর ফলে হরিজন্টাল বারটি ডানে বামে সরবে ফলে ডানে বামে লুকায়িত বা হাইড লেখা গুলো দেখা যাবে

স্টটাস বার (Status):

Status এর বাংলা হচ্ছে অবস্থা যেমন- ফেসবুকে স্টটাস (পোস্ট) দিইবন্ধুরা আমার জন্য দোয়া কর, আমি অসুস্থঅথবা “I am going to Dhaka” প্রথম পোস্টে তার অসুস্থ অবস্থা প্রকাশ করছে পরের পোস্টে ঢাকা যাওয়ার অবস্থা প্রকাশ করছে জমির উদ্দীনের অনেক টাকা, বাড়ী গাড়ী সব আছে তার অবস্থা খুব হায়ফাই অনুরূপভাবে এমএস ওয়ার্ড এর একটি ফাইলের মধ্যে কি কি আছে তার সমষ্টিকে ফাইলের অবস্থা বুঝাই ডকুমেন্টে কতটি শব্দ বা ওয়ার্ড, কতটি পেজ, এখন কোন পেজে আছি ইত্যাদি অবস্থা প্রকাশ করে যে বার তাকে স্টেটাস বার বলে এমএসওয়ার্ড উইন্ডোজের নিচে বাম কর্নারে বার অবস্থান করে


‘Excerise File’ ফোল্ডার এর ‘Word’ ফোল্ডার হতে Editing ফাইলটি ওপেন করি স্কিনের নিচে বাম কর্ণারে Page 1 of 4 এবং 1357 words দেখা যাবে এর অর্থ Editing ফাইলটিতে মোট চারটি পেজ আছে আমি এখন এক নাম্বার পেজে একটিভ আছি Editing ফাইলের মোট শব্দ সংখ্যা 1357 টি

Zoom contral:

স্টাটাস বারের সোজা ডানে শেষ প্রান্তে view button এবং zoom control থাকে view button এর সাহায্যে ডকুমেন্টটি ভিন্ন ভিন্ন view তে দেখা যাবে zoom control এর মাইনাস (-) ক্লিক করে zoom out এবং প্লাস (+) ক্লিক করে  zoom in করা যাবে

No comments:

Post a Comment

Thank for your comment

”কোটেশন”

ডিজিটাল শিক্ষা গ্রহন করি। নিজে ডিজিটাল হই। দেশকে ডিজিটাল করি। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

সাইটটি ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন