বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটারের শেষ নেই। নতুন নতুন কম্পিউটার আবিষ্কৃত হচ্ছে। কম্পিউটার কে অনেক ভাবে ভাগ করা যায়।
Ø ডাটা প্রসেসিং বা গঠনগত দিক বিবেচনায় কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
Ø আকার আকৃতির ও ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
Ø বিবর্তনের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
Ø ব্যবহারিক সুবিধার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার ডিজিটাল কম্পিউটার।
১.৪.১ ডাটা প্রসেসিং বা গঠনগত দিক বিবেচনায় কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
ডাটা প্রসেসিং বা গঠনগত দিক বিবেচনায় কম্পিউটার মোট তিন
(৩) প্রকার।
·
এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer)
·
ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)
·
হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)
এনালগ কম্পিউটার (Analog
Computer):
নিচের টিত্রে ঘড়ি দুটি দেখি – প্রথম ঘড়িতে সময় ১০:১০ টা এবং দ্বিতীয় ঘড়িতে ১২:৩৪ টা। দ্বিতীয় ঘড়িতে ঠিক ১২:৩৪ টাই, এর ১ ন্যানো সেকেন্ড কম বা বেশী নয়। কিন্তু প্রথম ঘড়িতে ১০:১০ টার ১ ন্যানো সেকেন্ড হলেও কম বা বেশী হবে। কিন্তু আমরা ১০:১০ টা সময় ধরে নিই। তার মানে প্রথম ঘড়ির সময় ১০:১০ টার সাদৃশ বা ১০:১০ টার মতো। এনালগ শব্দটির অর্থ সহজ ভাবে বললে বলা যায় – ও নই হুবহু ওর মতো। এটাই হচ্ছে সাদৃশ্য বা এনালগ।
এনালগ কম্পিউটারের সঙ্গা:
যে কম্পিউটার চাপ, তাপ,
বায়ু ও তরল পদার্থের উঠা-নামা বা হ্রাস-বৃদ্ধি পরিমাপ করে কার্যক্রম পরিচালিত করে এবং ফলাফল মিটার বা কাটার সাহায্যে প্রকাশ করে তাকে এনালগ কম্পিউটার বলে।
এনালগ কম্পিউটারের ইংরেজি সঙ্গা:
An computer that operates activities by
measuring pressure, heat, air and fluid loss and releasing the results with a
meter is called an analog computer.
উদাহরন - যেমন মোটর গাড়ীর স্পিডো মিটার।
ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer):
ডিজিট (Digit) থেকে ডিজিটাল শব্দ এসেছে। ডিজিট এর বাংলা হচ্ছে অংক। ০ থেকে শুরু করে ৯ প্রত্যেকটি এক একটি অংক বা ডিজিট। কিন্তু ডিজিটাল কম্পিউটারে শুধু মাত্র ০
(শূণ্য বা জিরো)
এবং ১ (এক বা ওয়ান)
ডিজিট দুটি ব্যবহৃত হয়। ডিজিটাল কম্পিউটার জিরো এবং ওয়ান এর নির্ভর করে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে।
ডিজিটাল কম্পিউটারের সঙ্গা:
যে কম্পিউটার বাইনারী ডিজিট ০ এবং ১ এর উপর ভিত্তি করে উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও ফলাফল প্রদর্শন অর্থাৎ ০ এবং ১ এর উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার তার যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে।
ডিজিটাল কম্পিউটারের ইংরেজি সঙ্গা:
A computer that displays, collects,
processes data based on binary digits 0 and 1 is called a digital computer.
উদাহরন – বর্তমানে সাধারনত আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি তার প্রায় সব ডিজিটাল কম্পিউটার। যেমন ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ কম্পিউটার ইত্যাদি।
হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer)
হাইব্রিড বলতে আমরা কি বুঝি? আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে আপনি হাইব্রিড অর্থ কি বলবেন। অনেকেই বলবে বড়,
অনেকেই বলবে উন্নতমানের। হাইব্রিড মানে বড় বা উন্নতমানের নয়। তবে হ্যা হাইব্রিড এর সাহায্যে আমরা বড় বা উন্নতমানের ফসল ফলাই। তাহলে হাইব্রিড মানে কি?
নিচের উদহরনটি দেখি
–
একজন কৃষক প্রথম বছর বারি – ২ জাতের মরিচ আবাদ করলো। কিন্তু তাতে তিনি লাভবান হতে পারলেন না। পরের বছর বিনা – ২ জাতের মরিচ আবাদ করলেন। দেখা গেল তাতেও তিনি লাভবান হলেন না। বারি – ২ এবং বিনা – ২ জাতের মরিচের বৈশিষ্ট্য গুলো দেখি।
বারি – ২ জাতের মরিচের গাছটি অনেক ছোট এবং ফলন কম হওয়ার কারনে কৃষক লাভবান হতে পারেননি। অনুরূপভাবে বিনা – ২ জাতের মরিচের গাছটির মরিচ অনেক ছোট এবং আয়ুষ্কাল কম হওয়ার কারনে কৃষক লাভবান হতে পারেনি।
জেনেটিক্স ইন্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে ডিএনএ বা জিনোম এর পুন:বিন্যাস ঘটিয়ে নতুন জাত তৈরি করা যায়। বারি – ২ জাতের ০২ নং বৈশিষ্ট্য ও ০৪ নং বৈশিষ্ট্য এবং বিনা– ২ জাতের ০১ নং বৈশিষ্ট্য ও ০৩ নং বৈশিষ্ট্য সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন জাতের মরিচ গাছ তৈরি করা যায়।
জাতের নাম বারি বিনা – ২ (কল্পনা) এর বৈশিষ্ট্য হবে –
০১। মরিচ গাছটি অনেক বড়।
০২। মরিচ গাছটির মরিচ অনেক বড়।
০৩। মরিচের ফলন অনেক বেশী।
০৪। মরিচ গাছটির আয়ুষ্কাল অনেক বেশী।
হাইব্রিড এর সঙ্গা: একই প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন জাতের ভিন্ন
ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণে নতুন জাত তৈরি করাকে হাইব্রিড বলা হয়। (পৃথিবীর সমস্ত মানুষ একই প্রজাতি কিন্তু
বাঙালী, পান্জাবী ইত্যাদি নামে বিভিন্ন জাত আছে। সমস্ত কম্পিউটার একই প্রজাতি ভুক্ত। পৃথিবীর সমস্ত টমেটো একই প্রজাতির কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন জাত আছে।)
এবার আসি হাইব্রিড কম্পিউটার ককে বলে। ডিজিটাল কম্পিউটারের মূলনীতি হচ্ছে এ কম্পিউটার কাজ করে ডিজিটের সাহায্যে। অন্যদিকে এনালাগ কম্পিউটার কাজ করে চাপ,
তাপ, বায়ুপ্রবাহ ওঠানামা ইত্যাদির মাধ্যমে। এখন এনালগ কম্পিউটার ও ডিজিটাল কম্পিউটার এর মূলনীতির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন কম্পিউটার তৈরি করলে তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলা হবে।
হাইব্রিড কম্পিউটারের সঙ্গা:
ডিজিটাল ও অ্যানালগ এই দুই কম্পিউটারের নীতির সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটার কে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে।
হাইব্রিড কম্পিউটারের ইংরেজি সঙ্গা:
A computer that combines the principles of
both digital and analogue computers is called a hybrid computer.
হাইব্রিড কম্পিউটারে উপাত্ত সংগৃহীত হয় অ্যানালগ প্রক্রিযায়। সংগৃহীত উপাত্ত ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করে এবং ফলাফল প্রদান করে।
উদাহরণ – হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে (আইসিইউ বা ICU), রক্ত চাপ নির্ণয়ে ইত্যাদি তে এ- কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।
চিত্রের সাহায্যে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ দেয়া হলো
-
১.৪.২ আকার আকৃতির ও ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
আকার আকৃতির ও ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে মোট চার (৪)
ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
·
সুপার কম্পিউটার (Super Computer)
·
মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)
·
মিনি কম্পিউটার (Mini Computer)
·
মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)
সুপার কম্পিউটার (Super Computer)
আকার আকৃতির দিক থেকে সবচেয়ে বড় এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটার অত্যান্ত শক্তিশালী, দ্রুতগতি সম্পন্ন ও ব্যয়বহুল।
এ কম্পিউটারে একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী (প্রায় ৫০০) ব্যবহার করতে পারে। ব্যয়বহুল হওয়ার কারনে এ কম্পিউটারের ব্যবহার উন্নত বিশ্বে সীমাবদ্ধ আছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোন সুপার কম্পিউটারের ব্যবহার নাই।
সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষনা, নভোযান, জঙ্গী বিমান এবং ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ন্ত্রন, মহাকাশ গবেষনা ইত্যাদি কাজে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
যেমন
- প্যারাগন, সাইবার ২০৫, কেরি-১ ইত্যাদি সুপার কম্পিউটার।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)
সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট আকারের কম্পিউটারকে বলা হয় মেইনফ্রেম কম্পিউটার। এ কম্পিউটারে জটিল সূক্ষ্ম উপাত্ত প্রক্রিয়াকরন করা যায়। বিশাল স্মৃতি ভান্ডার রয়েছে।
এ কম্পিউটারে অনেকগুলো ছোট ছোট কম্পিউটার (প্রায় ১০০)
যুক্ত করে একসঙ্গে অনেক মানুষ কাজ করতে পারে।
ব্যাংক, বীমা,
বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষনা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
যেমন -
IBM-৩০৩৩, Cyber-১০৭,
UNIVAC-১১৮০ ইত্যাদি মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
মিনি কম্পিউটার (Mini Computer)
সাধারনভাবে বলা যায় বড় নয় অথচ বেশী ছোটও নয় এমন ধরনের মাঝারি আকারের কম্পিউটারকে বলে মিনি কম্পিউটার। অথবা মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কম্পিউটারকে মিনি কম্পিউটার বলে।
মিনি কম্পিউটারকে ছোট টেবিলে বসিয়ে কাজ করা যায়। মিনি কম্পিউটারে কিছুসংখ্যক ছোট কম্পিউটার যুক্ত করে একসঙ্গে কিছু লোক কাজ করতে পারে।
যেসব কোম্পানী কাজের চাপ বেশী কিন্তু মেইনফ্রেম কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে না তারাই মিনি কম্পিউটার ব্যবহার করে। যেমন -
ক্লিনিক, হাসপাতাল, বহুজাতিক কোম্পানী ইত্যাদিতে মিনি কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
IBM s/৩৪, IBM s /৩৬,
PDP ১১ ইত্যাদি মিনি কম্পিউটার।
মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)
মাইক্রো শব্দের অর্থ ক্ষুদ্র। মিনি কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কম্পিউটারকে মাইক্রো কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটার ক্ষুদ্রাকৃতির মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি। সাধারনত আমরা যেসব কম্পিউটার ব্যবহার করি তার সবই মাইক্রো কম্পিউটার।
সাধারনত একজন লোক এ কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে। এ জন্য একে পিসি (PC) বা পারসোনাল কম্পিউটারও বলা হয়। দামে সস্তা, আকারে ছোট ফলে ব্যবহারে অনেক সুবিধা। অফিস, আদালত, বিনোদন সর্বত্র মাইক্রো কম্পিউটারের একক রাজত্ব।
ব্যবহারিক সুবিধার জন্য ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, নোটবুক ইত্যাদি বিভিন্ন আকৃতির মাইক্রোকম্পিউটার বাজারে এসেছে।
যেমন
- IBM PC, Apple Macintosh ইত্যাদি মাইক্রো কম্পিউটার।
নোট :
ক) সুপার কম্পিউটার অত্যান্ত শক্তিশালী। সুপার কম্পিউটার একই সাথে সরাসরি অনেক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে।
খ) মেইনফ্রেম কম্পিউটারে সরাসরি একাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারেনা, তবে অনেকগুলো ছোট ছোট কম্পিউটার যুক্ত করে একাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে।
গ) মিনি কম্পিউটার মেইনফ্রেমের চেয়ে ছোট এ কম্পিউটারে অনেকগুলো নয় তবে কিছু সংখ্যাক কম্পিউটার যুক্ত করে একাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে।
ঘ) ক্ষুদ্র মাইক্রোপ্রসেসর বিশিষ্ট অনেক ছোট কম্পিউটার। একসাথে শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে।
চিত্রের সাহায্যে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ দেয়া হলো -
এ চার প্রকারের বাইরে আরও এক প্রকার কম্পিউটার তৈরি হচ্ছে যার নাম গ্রিড কম্পিউটার। গ্রিড কম্পিউটার সুপার কম্পিউটারের বিকল্প এবং সুপার কম্পিউটারের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে।১.৪.৩ ব্যবহারিক সুবিধার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকার কম্পিউটার।
ব্যবহারিক সুবিধার উপর ভিত্তি করে মাইক্রো কম্পিউটারকে আবার কয়েকভাগে ভাগ করা যায়
–
ক) ডেস্কটপ
(Desktop) :
ডেস্কটপ শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। ডেস্ক (Desk) এবং টপ
(Top)। ডেস্ক অর্থ টেবিল এবং টপ অর্থ উপরে। অর্থাৎ টেবিলের উপরে রেখে যে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়ে তাকে ডেস্কটপ কম্পিউটার বলে। আমরা সাধারনত কম্পিউটার বলতে ডেস্কটপ কম্পিউটারকে বুঝি। অফিসে কিংবা বাড়ীতে বসে কাজ করার জন্য ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
খ) ল্যাপটপ
(Laptop) :
ল্যাপটপ শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত ল্যাপ (Lap) এবং টপ (Top)। ল্যাপ অর্থ কোল বা বিছানা এবং টপ অর্থ উপরে। অর্থাৎ কোল বা বিছানার উপরে রেখে যে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়ে তাকে ল্যাপটপ কম্পিউটার বলে। ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যাগে ভরে সহজে বহন করা যায়। ল্যাপটপ হাটে – বাজারে, বাসে – ট্রেনে, মাঠে – ময়দানে যেকোন জায়গায় সহজে ব্যবহার হচ্ছে।
গ) নোটবুক কম্পিউটার
:
নোটবুকের ন্যায় দেখতে ছোট কম্পিউটারকে নোটবুক কম্পিউটার বলে। দেখতে নোটবুকের মতো এজন্য এ কম্পিউটারকে নোটবুক কম্পিউটার বলে।
হাতের তালুতে রেখে কাজ করা যায় এরকম ছোট আকৃতির কম্পিউটারকে পামটপ কম্পিউটার বলে। আকার আকৃতিতে অনেক ছোট কম্পিউটারকে ট্যাবলেট কম্পিউটার বলে।
১.৪.৪
বিবর্তনের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ।
The classification of computers based
on evolution.
বিবর্তন হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তনকে বুঝায়।
যেমন বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন অনেক আগে মানুষের লম্বা লেজ ছিল। এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে লেজ ছোট হতে থাকে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ধীরে ধীরে ছোট হতে হতে একসময় নাই হয়ে যায়। এটাকে বলা হচ্ছে বিবর্তন।
আমরা সবাই শুনে থাকবো, কম্পিউটার শুরুতে অনেক বড় ছিল যা প্রায় একটা রুমের মতো সমান বড়। কম্পিউটার মেশিনকে ঠান্ডা করার জন্য দমকল মেশিন দিয়ে পানি সরবরাহ করে ঠান্ডা করা হতো। কিন্তু বর্তমান কম্পিউটার হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করা সম্ভব। এটা কিন্তু একদিনে হয়নি। একটা বৈশিষ্ট্য থেকে অন্য একটা বৈশিষ্ট্যে উদ্ভাবন। তারপর অন্য বৈশিষ্টে পদার্পন। কম্পিউটারের এক একটি যান্ত্রিক পরিবর্তন ও বৈশিষ্ট্যের উন্নয়ন, এটাই হচ্ছে কম্পিউটার বিবর্তন বা ইংরেজিতে evolution. এটাকে কম্পিউটার প্রজন্মও বলা হয়। প্রজন্ম বা বিবর্তনের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। উদ্ভাবনরে প্রারম্ভকি স্তরের কম্পিউটার (১৯৩৭-১৯৫১)
প্রারম্ভকি প্রজন্মরে কম্পিউটার বলা হয়।
Ø প্রথম প্রজন্ম (1st
Generation) ১৯৪৬ - ১৯৫৪
Ø দ্বিতীয় প্রজন্ম (2nd
Generation) ১৯৫৫ - ১৯৬৪
Ø তৃতীয় প্রজন্ম (3rd
Generation) ১৯৬৫ - ১৯৭৪
Ø চতুর্থ প্রজন্ম (4th
Generation) ১৯৭৫ – ১৯৮৯ বা ১৯৭১
- বর্তমান
Ø পঞ্চম প্রজন্ম (5th
Generation) প্রক্রিয়াধীন
প্রজন্মের সময়কাল বিভিন্ন বইয়ে বিভিন্ন দেওয়া আছে। যে কোন একটা ফলো করলেই হবে।
No comments:
Post a Comment
Thank for your comment