কিছু খুঁজছি, তাহলে এখানে।

কম্পিউটার সিস্টেম এবং বিভিন্ন প্রকার হার্ডওয়্যার।

কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র বা মেশিন যেখানে একসেট ডাটা ইনপুট হিসেবে গ্রহন করে গ্রহনকৃত ডাটাকে প্রসেস করে প্রসেস করার পর একসেট আউটপুট তৈরি করে এবং ফলাফল আকারে প্রদান করে এসব কাজ গুলো সম্পাদিত হয় হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার কে মানুষের সাথে তুলনা করলে মানুষের হাতপা, নাকমুখ, চোখকান ইত্যাদি হার্ডওয়্যার মানুষের শরীরের ভিতরে যাকে আমরা আত্মা বা মন বলি তাকে সফটওয়্যার বলা যেতে পারে হার্ডওয়্যার হচ্ছে দৃশ্যমান এবং সফটওয়্যার হচ্ছে অদৃশ্য

ধরুন আমি মনে মনে চিন্তা করলাম বা আমার মতিষ্ক লজিক এপ্লাই করলোআমি বিকালে বাজারে গিয়ে নান্টুর দোকানে আদা চা খাবো তাহলে আমাকে যে কাজগুলো করতে হবে

০১ হেটে বা রিকসায় বাজারে নান্টুর দোকানে যেতে হবে

০২ নান্টুর দোকানে চায়ের অর্ডার করতে হবে

০৩ শেষে চা পান করতে হবে

চা খাওয়ার ইচ্ছা পোষন করলাম এবং মন বা মতিষ্ক চা পান করার জন্য বিভিন্ন লজিক বা যুক্তি সম্পাদন করে (যেমন এখন খাবো নাকি পরে খাবো, টাকা আছে কিনা, বাজারে যাবো নাকি বাড়ীত খাবো ইত্যাদি) স্থির একটা সিদ্ধান্ত ঠিক করলাম কাজগুলো হচ্ছে কিন্তু বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে না এটা হচ্ছে সফটওয়্যার

আবার হেটে বা রিকসায় বসে বাজারে গেলাম এতে আমার পা অথবা বডি সাহায্য করলো, দোকানে গিয়ে হাত এবং মুখের সাহায্যে চা পান করলাম এসব কাজ গুলো করার জন্য দৃশ্যমান যেসব অঙ্গ সাহায্য করলো এসব অঙ্গ হচ্ছে হার্ডওয়্যার

..১ হার্ডওয়্যার (Hardware)

যেসব দৃশ্যমান যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে কম্পিউটার তৈরি তাদেরকে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলা হয় এসব যন্ত্র বা ডিভাইস দেখা যায় স্পর্শ করা যায়  যেমন মাউস, মনিটর, কীবোর্ড ইত্যাদি

হার্ডওয়্যারের সাংগাঠনিক চিত্র নিম্মরূপ

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর সাংগাঠনিক চিত্রে মোট তিনটি অংশ


০১ ইনপুট (Input) ইউনিট বা ডিভাইস

০২ প্রসেসিং (Processing) ইউনিট বা ডিভাইস

০৩ আউটপুট (Output) ইউনিট বা ডিভাইস 

প্রসেসিং ইউনিট মোট তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত

০১ কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রন ইউনিট

০২ গানিতিক যুক্তিমূলক ইউনিট বা Arithmetic & Logic Unite

০৩ স্মৃতি বা মেমরী ইউনিট

.. হার্ডওয়্যারের শ্রেণিবিভাগ

 হার্ডওয়্যার মোট তিন প্রকার যথা

) ইনপুট ডিভাইস (Input Device) বা ইনপুট ইউনিট

) প্রসেসিং ডিভাইস (Processing device) বা প্রসেসিং ইউনিট

) আউটপুট ডিভাইস (Output Device) বা আউটপুট ইউনিট

) ইনপুট (Input) ইউনিট বা ডিভাইস

যেসব যন্ত্র  বা ডিভাইসের সাহায্যে কম্পিউটারে ডাটা বা নির্দেশ প্রদান করা হয় বা যেসব যন্ত্র  বা ডিভাইসের সাহায্যে কম্পিউটারে ডাটা বা নির্দেশ গ্রহণ করে তাকে ইনপুট অংশ বা ইনপুট ডিভাইস বলা হয় ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডাটা কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরন অংশে প্রেরন করা হয় ইনপুট ডিভাইস ডাটা বা উপাত্ত সমূহকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষার পরিনত করে যাতে করে প্রেরিত উপাত্ত বা ডাটা কম্পিউটার সহজে বুঝতে পারে

আমরা সবাই (বিশেষ করে যারা উচ্চ মাধ্যমিক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি পড়ে আসছি) জানি কম্পিউটার এবং ছাড়া কিছুই বুঝে না কিন্তু কীবোর্ড যখন ‍a প্রেস করি কীবোর্ড a কে , কনভার্ট করে কম্পিউটারে প্রদান করে

উদাহরন

    Ø কীবোর্ড (Key Board)

    Ø মাউস (Mouse)

    Ø স্ক্যানার (Scanner)

    Ø মাইক্রোফোন (Microphone)

    Ø টাচপ্যাড (Touchpad) ইত্যাদি

 (Key Board কীবোর্ড):


কীবোর্ড হলো কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইস লেখালেখিসহ কম্পিউটারে উপাত্ত বা নির্দেশ প্রদান করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কীবোর্ড কীবোর্ড হলো এমন একটি ডিভাইস, যাতে কিছু চতুর্ভুজ আকৃতির বাটন পাশাপাশি বিন্যস্ত থাকে, বাটনগুলোকে বলা হয় কী প্রত্যেকটি কী (বাটন) উপর একটি নির্দিষ্ট ক্যারেক্টার বা বর্ণ বা অক্ষর ছাপানো থাকে প্রত্যেকটি কী তার উপর ছাপানো ক্যারেক্টারের প্রতিনিধিত্ব করে কীবোর্ডে সার্কিটসহ  অনকোডার লাগানো থাকে কী বা বাটন প্রেস করার সাথে সাথে অনকোডার সার্কিট কী বা বাটনের ক্যারেক্টারকে ডিজিটাল সিগনালে পরিনত করে সিপিইউ তে পাঠাই কীবোর্ড প্রাইমারী ইনপুট ডিভাইস

 কীবোর্ডে ৮৪ থেকে শুরু করে ১০১ বা ১০২ টি কী থাকে কীবোর্ডের কী গুলো মোটামুটি ভাগে বিভক্ত

০১ ফাংশন কী: কী বোর্ডের উপরের দিকে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে কীগুলো আছে এদের একত্রে ফাংশন কী বলে এদের ফাংশন কী(একত্রে) বলার কারণ এদের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করা যায় যেমন- কোন প্রোগ্রামের জন্য help অথবা কোন প্রোগ্রাম রান করানো ইত্যাদি কাজে এই কীগুলোর ব্যবহার করা হয়। 


০২ অ্যারো কী (Arrow Key) বা কার্সর মুভমেন্ট কী : কী বোর্ডের ডান দিকে নিচে পৃথক ভাবে চারটি কী আছে কোন কোন কী বোর্ডে উপরের দিকেও থাকে কীগুলোর উপরে অ্যারো বা তীর চিহ্ন দেওয়া থাকে যা দিয়ে খুব সহজেই কার্সরকে ডানে, বামে, উপরে এবং নীচে সরানো যায় এগুলিকে আবার এডিট কীও বলে কারণ টেক্সট এডিট করার কাজেও কীগুলো ব্যবহার করা হয়


০৩ টাইপিং কী বা আলফা বেটিক কী কী বোর্ডের যে অংশে ইংরেজি বর্ণমালা A থেকে Z পর্যন্ত সাজানো থাকে সেই অংশকে আলফাবেটিক সেকশন/অংশ বলে (তবে এখন ইংরেজি বর্ণমালর পাশাপাশি কীবোডে বাংলা বর্ণমালাও ছাপানো থাকেএছাড়াও Enter key, Shift key, Tab key, Caps lock, Space bar এগুলোকে টাইপিং কী বলা হয় Shift key চেপে ধরে টাইপ করলে ইংরেজি বড় হাতের হয় Caps lock অন করে টাইপ করলে ইংরেজি বড় হাতের হয়

০৪ নিউমেরিক বা লজিক্যাল কী: কীবোর্ডের উপরে ফাংশন কী এর নিচে 0 থেকে 9 পর্যন্ত সংখ্যা লেখা যে কীগুলো রয়েছে তাকে নিউমেরিক কী বলে এখানে +, -, *, / প্রভৃতি অ্যারিথমেটিক অপারেটর থাকে এছাড়াও (, ), = লজিক্যাল অপারেটরগুলো কী বোর্ডে থাকে


০৫ বিশেষ কী বা কমান্ড কী: উল্লেখিত কী গুলো ছাড়া কী-বোর্ডের অন্যান্য কী সমূহকে বিশেষ কী বলা হয় এসব কী কোন না কোন বিশেষ কার্য সম্পাদন করে বলে এদেরকে অনেকে কমান্ড কীও বলে  যেমন Print Screen, Home, Page UP, Page Down, Ctrl, Alt, Esc ইত্যাদি

নিউমেরিক প্যাড বা কী: এছাড়াও প্রায় প্রত্যেকটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের কীবোর্ডের ডানপাশে নিউমেরিক প্যাড নামে এক্সট্রারা কী প্যাড থাকে  এখানে 0 – 9 পর্যন্ত অংক এবং +, -, *, /, ইত্যাদি কী গুলো থাকে Num Lock নামে আরও একটি কী থাকে Num Lock অন থাকলে নিউমেরিক প্যাড দিয়ে কার্যক্রম সম্পাদন করা যায়

বিভিন্ন প্রকার কী বোর্ড

০১) মাল্টিমিডিয়া কী বোর্ড : মাল্টিমিডিয়া পরিচালনা এক্সট্রা সুবিধা প্রদানের জন্য অতিরিক্ত কী বা বাটন বিশিষ্ট কীবোর্ডকে মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ড বলে অতিরিক্ত কী গুলো Pause, Play, Next, Vol++, Vol – ইত্যাদি

০২) ওয়্যারলেস (Wireless) কীবোর্ড: তারবিহীন কীবোর্ডকে ওয়্যারলেস কী বোর্ড বলে কীবোর্ড রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বা ইনফারেড বা ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ছোট ইএসবি ডিভাইসের সাহায্যে কীবোর্ড কম্পিউটারের সাথে ডাটা আদানপ্রদান করে থাকে

০৩) ফোল্ডেবল বা ফ্লেক্সিবল কীবোর্ড: ফোল্ডেবল কীবোর্ড ইচ্ছামতো ফোল্ডিং বা ভাজ করা যায় জন্য কীবোর্ডকে ফোল্ডেবল কী বোর্ড বলা হয়

মাউস (Mouse) 

মাউস অতি প্রয়োজনীয় ইনপুট ডিভাইস কম্পিউটারের মাউস দেখতে অনেকটা ঈদুরের মতো ইদুরের ইংরেজি Mouse (মাউস) তাই একে মাউস বলা হয় মাউসের উপরিভাগে দুটি (অনেক মাউসে তিনটি) বাটন থাকে দুই বাটনের মাঝখানে একটি চাকা থাকে মাউসের পিছন পাশ মসৃন মাউসকে মসৃন তলে নড়াচড়া করালে মনিটরের পর্দায় একটি তীর চিহ্ন নড়াচড়া করে একে বলা হয় মাউস পয়েন্টার বা কার্সর


১৯৬০ এর দশকের শেষ ভাগে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডুগ এঙ্গেলবার্ট সর্বপ্রথম মাউস আবিষ্কার করেন  ১৯৮০ এর দশকে আ্যাপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিন্টশ সিরিজে প্রথম এটি উপস্থাপন করে

লেফট ক্লিক: কোন আইটেম এর উপর মাউস পয়েন্টার রেখে মাউসের লেফট বাটন একবার প্রেস করাকে লেফট ক্লিক বলে কোন আইটেম সিলেক্ট করার কাজে লেফট ক্লিক করা হয় কম্পিউটারে ক্লিক বলতে লেফট ক্লিককে বুঝায় একে সিঙ্গেল ক্লিক বা ক্লিকও বলা হয়

রাইট ক্লিক: কোন আইটেমের উপর মাউস পয়েন্টার রেখে মাউসের রাইট বাটন প্রেস করাকে রাইট ক্লিক বলা হয় কোন আইটেমের উপর মাউসের সাহায়ে বিশেষ কোন টাস্ক বা কাজ করার জন্য মাউসের রাইট ক্লিক করা হয়

ডাবল ক্লিক: মাউস পয়েন্টার কোন আইটেমের উপর রেখে বিরতিহীন ভাবে মাউসের লেফট বাটন দুবার প্রেস করাকে ডাবল ক্লিক বলা হয় কোন কমান্ড নির্বাহ করার জন্য অথবা প্রোগ্রাম রান করার জন্য ডাবল ক্লিক প্রয়োগ করা হয়

ড্রাগ: মাউস পয়েন্টার কোন আইটেমের উপর রেখে মাউসের লেফট বাটন চেপে ধরে মাউস হেচড়ানোকে ড্রাগ বলা হয় কোন আইটেম স্থানান্তর করার জন্য ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়

বিভিন্ন প্রকার মাউস

) সিরিয়াল মাউস (Serial Mouse)

) পিএস/ মাউস (PS/2 Mouse)

) ইউএসবি মাউস (USB Mouse)

) মেকানিক্যাল মাউস (Mechanical Mouse)

) অপটিক্যাল মাউস (Optical Mouse)

) ওয়্যারলেস মাউস (Wireless Mouse)

) টাচপ্যাড (Touchpad))

সিরিয়াল মাউস, পিএস/ মাউস এবং ইউএসবি  মাউসগুলোকে তাদের কানেক্টরের ধরন অনুসারে নামকরন করা হয়েছে চিত্রে তিন প্রকার মাউসের কানেক্টরের টাইপ দেখানো হলো-

) মেকানিক্যাল মাউস (Mechanical Mouse): স্ক্রীনে কার্সরকে ঘুরনোর জন্য মেকানিক্যাল মাউসে একটি রবারের বল থাকে মাউসের ভেতরে একটি সেন্সর থাকে যেটি বলের নড়াচড়াকে সনাক্ত এবং সেটিকে তথ্যে রূপান্তর করে যা কম্পিউটার অনুবাদ করতে পারে মাউসের বলের মুভমেন্টকে কার্সল ফলো করে ধরনের মাউসকে ট্রাকবল (Trackball) মাউসও বলা হয়

) অপটিক্যাল মাউস (Optical Mouse): যে মাউসের বলের পরিবর্তে একটি অপটিক্যাল রশ্মি ব্যবহার করা হয় এবং মাউসটিকে কোন সমতলে নড়ানোর ফলে স্ক্রীনে মাউস পয়েন্টার নড়াচড়া করে তাকে অপটিক্যাল মাউস বলে মাউসের মুভমেন্টকে কার্সর ফলো করে

) ওয়্যারলেস মাউস (Wireless Mouse): তারবিহীন মাউসকে ওয়্যারলেস মাউব বলা হয় মাউসে কোন ধরনের ক্যাবল কানেকশন থাকে না ব্লুটুথ অথবা ইনফ্রারেড অথবা রেডিও ওয়েব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করে ডাটা আদান প্রদান করে কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টে ছোট একটি ডিভাইস সংযোগ দেওয়া থাকে ডিভাইসের সাহায্যে  মাউস কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করে ডাটা আদান প্রদান করে

) টাচপ্যাড (Touchpad): এগুলো সাধারণত ল্যাপটপে পাওয় যায় যা প্রচলিত মাউসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় এটি একটি স্পর্শকাতর প্যাড দুটি বাটন নিয়ে গঠিত বাটন দুটি মাউসের বাটনের মতো কাজ করে

অন্যান্য ইনপুট ডিভাইস


 ) প্রসেসিং (Processing) ইউনিট বা ডিভাইস

ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে ইনপুট কৃত ডাটা প্রসেস করার জন্য যেসব ডিভাইস ব্যবহৃত হয় তাকে প্রসেসিং ডিভাইস বলা হয় যেমনপ্রসেসর, প্রসেসর কে কম্পিউটারের মতিষ্ক বলা হয় প্রধান মেমরী্যাম, ইত্যাদি

কিছু কিছু বইয়ে মাদারবোর্ডকে প্রসেসিং ডিভাইস বলা আছে

) আউটপুট (Output) ইউনিট বা ডিভাইস

আউটপুট (Output) শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত Out + put, Out মানে হচ্ছে বাইরে put মানে হচ্ছে রাখা Output মানে হচ্ছে বাইরে রাখা কম্পিউটার আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ডাটা গুলো বাইরে রাখে মানে বাইরে প্রদান করে

যে ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রসেসকৃত ডাটা ফলাফল আকারে প্রদান করে তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে যেমন

    Ø মনিটর (Monitor)

    Ø প্রিন্টার (Printer)

    Ø স্পিকার (Speaker)

    Ø প্লটার (Plotter)

    Ø হেডফোন (Headphone) ইত্যাদি

মনিটর (Monitor)

কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মনিটর টিভির মতো দেখতে বড় যন্ত্রটি মনিটর মনিটর কম্পিউটারের তথ্য বা উপাত্তকে ট্রেক্স, গ্রাফিক্স, ভিডিও আকারে আমাদের চোখ দিয়ে দেখতে সাহায্য করে মনিটরের পিছনে দুটি পোর্ট থাকে একটিতে বৈদ্যুতিক ক্যাবল সংযোগ দেওয়া হয় অন্যটিতে ডেটা ক্যাবল যার মধ্য দিয়ে ডাটা আদানপ্রদান করা যায় মনিটর মোট দুই প্রকার যথা – 

ক্যাথড রে টিউব (Cathode Ray Tube - CRT): ট্রেডিশনাল টেলিভিশনের মতো দেখতে মনিটরকে সিআরটি মনিটর বলা হয় এসব মনিটর গোটা টেবিল জুড়ে থাকে

০২ ফ্ল্যাট প্যানেট (Flate Panel) মনিটর: লম্বা পাতলা প্রশস্ত প্রিন্টারকে ফ্ল্যাট প্যানেল প্রিন্টার বলা হয় জায়গা কম দখল করে, বিদ্যুৎ খরচ কম হয় ফ্ল্যাট প্যানেল মনিটর বর্তমানে খুব জনপ্রিয় অন্যতম ফ্ল্যাট প্যানেল মনিটর হচ্ছে Liquid Crystal Display – LCD.

প্রিন্টার (Printer)

প্রিন্টার একটি আউটপুট ডিভাইস প্রিন্টারের সাহায্যে কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকৃত ফলাফল হাড পেপারের বা কাগজে লিখিত আকারে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার প্রিন্টার নিচে দেওয়া হলো

) Ink Jet প্রিন্টারে : Ink Jet প্রিন্টারে কালির সাহায্যে প্রিন্ট করে প্রিন্টার কালির ফোটা কাগজে বা প্লাস্টিকে ফেলে ডিজিটাল ইমেজ তৈরি করে ইঙ্কজেট প্রিন্টার গুলো সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রিন্টার সাধারনত ছবি প্রিন্ট করার জন্য বেশী ব্যবহৃত হয়

 ) ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার :  ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার সাধারনত ডট বা ফোটা ফোটা দিয়ে ক্যারেক্টার প্রিন্ট করে প্রতি পেজে প্রিন্টির খরচ খুব কম

) লেজার প্রিন্টার : লেজার প্রিন্টার লেজার রশ্মির সাহায্যে প্রিন্ট করে প্রিন্টারে তরল কালি ব্যবহার করা হয়না সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রিন্টার অফিসে সাধারনত লেজার প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়

) থারমাল প্রিন্টার : থারমাল প্রিন্টার এর সাহায্যে প্রিন্ট করার জন্য এক ধরনের থারমাল পেপার ব্যবহার করা হয় সাধারন বড় বড় শোরুমে মানি রিসিভ প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে থারমাল প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়

প্লটার এক ধরনের বিশেষ প্রিন্টিং আউটপুট ডিভাইস প্রিন্টারের সাহায্যে বড় ধরনের ইমেজ বা ছবি প্রিন্ট করা কষ্টকর সে ক্ষেত্রে প্লটার ব্যবহার করে প্রিন্ট করা হয়

No comments:

Post a Comment

Thank for your comment

”কোটেশন”

ডিজিটাল শিক্ষা গ্রহন করি। নিজে ডিজিটাল হই। দেশকে ডিজিটাল করি। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

সাইটটি ভাল লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন