আমরা জানি কম্পিউটার মেমরী দুই প্রকার। প্রধান মেমরী যেমন রেম এবং সহায়ক মেমরী যেমন হার্ডডিস্ক। স্থায়ীভাবে বা দীর্ঘমেয়াদী ডাটা সংরক্ষনের জন্য হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারের সব ধরনের ডাটা হার্ডডিস্কে জমা থাকে। বর্তমানে বেশীর ভাগ হার্ডডিস্কের এক টেরাবাইট হয়ে থাকে। হার্ডডিস্ককে পছন্দমতো একাধিক ভাগে ভাগ করা যায়। বিভিন্ন ভাগে ভাগ করাকে পার্টিশন বলা হয়। হার্ডডিস্ককে বাসায় ব্যবহৃত আলমারির সাথে তুলনা করা যেতে পারে। আলমারি তৈরির সময় ইচ্ছামতো তিন বা চারটি ভাগে ভাগ করে তৈরি করা যায়। এক অংশে বউয়ের কাপড়, এক অংশে শীতের কাপড়, অন্য অংশে বাচ্চা এবং স্বামীর কাপড় রাখার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। আলমারির মতো করে হার্ডডিস্কের বিভিন্ন অংশগুলোকে পার্টিশন বলা হয়। প্রতিটি পার্টিশন Local Disk বা New Volume নামে চিহ্নিত থাকে (নাম পরিবর্তনও করা যায়)। আলমারির কোন অংশে ড্রয়ার দেখা যায়। ড্রয়ারের ভিতর ড্রয়ার আবার ড্রয়ারের ভিতর ড্রয়ার থাকে। যেটাকে সিন্ধুক বলা হয়। অনরূপ ভাবে পার্টিশনের ভিতরে ফোল্ডার এবং ফোল্ডারের ভিতর ফোল্ডার তৈরি করা যায়। সাধারনত ডেস্কটপের My Computer বা This PC তে ডাবল ক্লিক করে হার্ডডিস্কের পার্টিশন ওপেন করা হয়।
My Computer বা This PC তে ডাবল ক্লিক করলে চিত্রের ন্যায় উইন্ডোজ ওপেন হবে এবং বিভিন্ন পার্টিশন যেমন Local Disk C, Local disk D ইত্যাদি দেখা যাবে। এখানে ডিস্ক পার্টিশন ছাড়াও বিল্ট ইন Document, Video, Music, Picture ইত্যাদি ফোল্ডারও থাকে। বিল্ট ইন এসব ফোল্ডার Local Disk C এর অন্তর্ভুক্ত। Local disk C হচ্ছে রিজার্ভ পার্টিশন। এখানে কোন কিছু না করাই ভালো।
৩.২.২ ফোল্ডার তৈরি
(Create Folder)
হার্ডডিস্কের যে পার্টিশনে ফোল্ডার তৈরি করতে চাই সর্বপ্রথম সে পার্টিশনে বা সে লোকেশনে গমন অর্থাৎ এক্সেস করতে হবে। যদি আপনি Local Disk C/D তে ফোল্ডার তৈরি করতে চান তাহলে-
Ø ডেস্কটপ হতে পার্টিশন বা হার্ডডিস্ক
রান করার জন্য This PC/ My Computer আইকনে ডাবল ক্লিক।
Ø Local Disk C/D তে রাইট ক্লিক করে ওপেন এ ক্লিক।
Ø Home ট্যাব এর রিবনের New folder- এ ক্লিক অথবা ফাঁকা জায়গায় মাউসের সাহায্যে রাইট ক্লিক।
Ø Go to new তারপর Go to Folder এবং Folder এ ক্লিক।
Ø প্রয়োজন মতো ফোল্ডারের নাম টাইপ।
ফোল্ডারের ভিতর ফোল্ডার তৈরি করা যায়। ফোল্ডারের ভিতর ফোল্ডারকে সাবফোল্ডার বলে।
৩.২.৩ ফোল্ডার রিনেম
(Rename) এবং ডিলিট (Delete):
ফোল্ডার রিনেম এবং ডিলিট প্রক্রিয়া দুটি প্রায় কাছাকাছি। কাঙ্খিত ফোল্ডারের উপর রাইট ক্লিক। রিনেম করতে চাইলে রিনেম এর উপর ক্লিক তারপর নতুন নাম টাইপ। আর ডিলিট করতে চাইলে ডিলিট এর উপর ক্লিক এবং ইয়েস। তবে কাঙ্খিত ফোল্ডার সিলেক্ট করে Home রিবন থেকেও রিনেম এবং ডিলিট করা যায়।
অনিচ্ছাকৃত বা ভুলভাবে ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট হয়ে গেলে রিসাইকেল বিন থেকে ডিলিটকৃত ফাইল বা ফোল্ডার রিস্টোর অর্থাৎ পুনরোদ্ধার করা যায়।
Thank you sir,,,,
ReplyDeleteধন্যবাদ, আপনার পরিচিত সবার সাথে ওয়েব সাইটের লিংক শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।
Delete👍
Delete