Computer Shutdown
কম্পিউটার সহ যেকোন যন্ত্র বা মেশিন এর কাজ শেষ হওয়ার পর বন্ধ করতে হয়। অন্যান্য অনেক মেশিন পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে মেশিন বন্ধ করতে হয়। কম্পিউটারের ক্ষেত্রেও পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে দিলে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে, তবে এটা নিয়ম না। এতে করে কম্পিউটারের কর্মদক্ষতা কমে যায়। অনেক সময় কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র নষ্টও হয়ে যেতে পারে। নিয়ম মেনে কম্পিউটার অফ করাকে শার্টডাউন বলা হয়। Shut এর বাংলা অর্থ -‘কোন কিছুকে তার পজিশন থেকে এমন ভাবে সরানো যাতে বন্ধ অথবা খোলা হয়।’ যেমন দোকানের শাটার ডাউন করলে ভিতরে দোকান থাকে ঠিকই কিন্তু দোকান বন্ধ হয়। অনুরূপ ভাবে কম্পিউটার শার্টডাউন করলে কম্পিউটার বন্ধ হয়। কম্পিউটার শার্টডাউন বিভিন্ন ভাবে করা যায়। নিচে কয়েকটি আলোচনা করা হলো।
ক) রাইট ক্লিক এর সাহায্যে
·
কম্পিউটার ডেস্কটপের নিচে টাস্কবারের বাম কোণে স্টার্ট আইকনের উপর রাইট ক্লিক।
·
মাউস কার্সরকে Shutdown or sign out নিয়ে যাওয়া।
· ক্লিক shutdown.
কম্পিউটারটি বন্ধ হতে শুরু করবে। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর সিগন্যাল বাতি অফ হয়ে গেলে বুঝতে হবে কম্পিউটার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
খ) সিঙ্গেল ক্লিক এর সাহায্যে।
·
কম্পিউটার ডেস্কটপের নিচে টাস্কবারের বাম কোণে অবস্থিত স্টার্ট আইকনের উপর সিঙ্গেল ক্লিক।
·
Go
to Power button.
·
ক্লিক Power Button.
·
ক্লিক Shutdown.
কম্পিউটারটি বন্ধ হতে শুরু করবে। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর সিগন্যাল বাতি অফ হয়ে গেলে বুঝতে হবে কম্পিউটার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
কম্পিউটার শার্টডাউন করার পর বিদ্যুৎ কানেকশন অফ করতে হবে। ইউপিএস থাকলে তাও অফ করতে হবে।
৩.১.৪ Computer Restart
রিসেট (Reset) এবং রিস্টার্ট (Restart) দুটো সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। রিসেট মানে পুনরায় সেট করা। ডিজিটাল ডিভাইস এর বিভিন্ন সেটআপ গন্ডগোল হলে অথবা মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারনত রিসেট দেওয়া হয়। রিসেট এর ফলে ডিভাসের সব ধরনের পারসনাল কাস্টমাউস যেমন- ব্যকগ্রাউন্ড পিকচার, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার, ফ্রন্ট সাইজ ইত্যাদি এবং পারসনাল প্রোগ্রাম রিমুভ হয়ে যায়। বাইডিফল্ড সেটআপে অর্থাৎ ডিভাইস প্রস্তুত করার সময় যে সেট আপ ছিল সে সেট আপ চলে আসবে। তবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সাধারনত রিসেট দেওয়া হয় না।
রিস্টার্ট মানে পুনরায় চালু করা। কম্পিউটার এবং যেকোন ডিজিটাল ডিভাইস অনেক সময় হ্যাং হয়ে যায়। কোন কমান্ড কাজ করে না। এরকম অবস্থা দেখা দিলে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিতে হয়। এতে কম্পিউটার নিজে নিজে বন্ধ হয়ে চালু হবে। পুনরায় নতুন ভাবে কাজ করার জন্য উপযোগী হবে। রিস্টার্ট এবং শার্টডাউন প্রায় কাছাকাছি জিনিস। শার্টডাউন দিলে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে। রিস্টার্ট দিলে কম্পিউটার বন্ধ হবে এবং নিজে নিজে পুনরায় চালূ হবে। কম্পিউটার শার্টডাউন এবং রিস্টার্ট করার পদ্ধতি একই রকম। কম্পিউটার শার্টডাউন এর সবশেষ ধাপে Shutdown এ ক্লিক না করে Restart এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে পুনরায় চালু হবে।
৩.১.৫ Sleep & Sign out
Sleep এর বাংলা ঘুমানো। ঘুমানোর সময় মানুষ অর্ধমরা থাকে। শরীরের প্রায় অনেক কাজ বন্ধ থাকে। মিনিমাম পাওয়ার নিয়ে বেচে থাকে। কম্পিউটারের ক্ষেত্রেও কম্পিউটারকে মিনিমাম পাওয়ার দিয়ে চালু রাখাকে স্লিপ মুড বলা হয়। ধরুন কম্পিউটারে কাজ করার সময় এক ঘন্ট বা দুই ঘন্টার জন্য বাইরে যেতে হবে। কম্পিউটারে এমন কাজ করছেন কম্পিউটার বন্ধ করা যাবে না। এরকম পরিস্থিতিতে অন করে রাখলে কম্পিউটার অনেক পাওয়ার খরচ করবে এবং প্রায় সমস্থ ডিভাইস চালু থাকবে। এ অবস্থায় স্লিপ মোড অন করে দিলে পাওয়ার খরচ কমে যাবে শুধমাত্র সিপিইউ সামান্য পাওয়ার নিয়ে চালু থাকবে।
ইন্টারনেট ভিত্তিক অফিসে সাধারনত ২৪ ঘন্টায় কাজ থাকে। এসব অফিসে ৮ ঘন্ট করে সিফটিং ডিউটি তে কাজ করা হয়। ধরা যাক সকাল শিফটে আপেল, বিকাল শিফটে মাহমুদ, রাতে নাজমুল। একই ম্পিউটারে তিনজনের জন্য তিনটা ইউজার তৈরি করা যায়। আপেল যতক্ষন কাজ করবে ততক্ষন তার ইউজার আইডি ব্যবহার করবে। আপেলের ডিউটি শেষ হয়ে গেলে তার ইউজার থেকে বের হয়ে যাওয়াকে সাইন আউট বলা হয়। ই-মেইল, ফেসবুক ইত্যাদি থেকে বের হতে সাইন আউট ব্যবহার করা হয়।
Thank you sir,,,,
ReplyDeleteআপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পরিচিত সবার সাথে ওয়েব সাইট লিংক শেয়ার করুন।
Delete👍👍👍👍👍👍👍
DeleteThank you sir,,,,
ReplyDeleteআপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পরিচিত সবার সাথে ওয়েব সাইট লিংক শেয়ার করুন।
Deleteধন্যবাদ স্যার আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ReplyDeleteআপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পরিচিত সবার সাথে ওয়েব সাইট লিংক শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।
DeleteThank you sir
ReplyDeleteআপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পরিচিত সবার সাথে ওয়েব সাইট লিংক শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি।
Delete