DataBase (ডেটাবেস)
Data শব্দটি ল্যাটিন শব্দ
Datum এর বহুবচন।
Data শব্দের অর্থ উপাত্ত এবং Base শব্দের অর্থ ঘাটি বা সমাবেশ। শাব্দিক অর্থে উপাত্তের সমাবেশ। যেমন সেনা ঘাঁটিতে অনেক সেনা সদস্য থাকে। রাজনৈতিক সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়।
ডাটাবেজ হচ্ছে পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত হাজার উপাত্তের সমাবেশ যা সহজে ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা এবং আপডেট করা যায়।
ডাটাবেজের সুবিধা ও অসুবিধা:
ডাটাবেজের সুবিধা |
ডাটাবেজের অসুবিধা |
০১. অতি
দ্রুত ডেটা উপস্থাপন ও পরিচালনা করা যায়। ০২. অল্প সময়ে ডেটার বিন্যাস ঘটানো যায়। ০৩. সহজে ডেটা বা রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যায়। |
০১. ডাটাবেজ বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ
প্রাপ্ত জনবল দরকার এবং ব্যয়বহুল। ০২. ভুল ডেটার কারনে ডাটাবেজ অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। ০৩. ডাটাবেজ হ্যাকিং হতে পারে।
|
ডাটাবেজ এর প্রকারভেদ:
সাধারন ডাটাবেজ |
রিলেশনাল ডাটাবেজ |
শুধুমাত্র
একটি টেবিলে অথবা পরস্পর সম্পর্কবিহীন একাধিক টেবিলের সাহায্যে গঠিত ডাটাবেজকে সাধারন ডাটাবেজ বলা হয়। এতে একই সময়ে মাত্র একটি টেবিল নিয়ে কাজ করা যায়। |
পরস্পর সম্পর্ক
যুক্ত একাধিক টেবিলের সাহায্যে গঠিত ডাটাবেজকে রিলেশনাল ডাটাবেজ বলা হয়। রিলেশনাল ডাটাবেজে একাধিক টেবিলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে। |
ডাটাবেজের
কয়েকটি উপাদান
বিট:
আমরা জানি কম্পিউটার বাইনারি ডিজিট (বিট)
ছাড়া কিছুই বুঝতে পারে না। বাইনারি ডিজিট ০ এবং ১ এর উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পাদিত হয়। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির জিরো
(০) বা ওয়ান
(১) কে আলাদা ভাবে বিট বলা হয়।
বাইট
বা
অক্ষর:
কম্পিউটার বিভিন্ন বর্ণ বা লেটার কে বাইনারি ডিজিটে (বিট) রূপান্তর করে। যেমন কীবোর্ড ইংরেজি ক্যাপিটাল A কে বাইনারী 01000001 তে রূপান্তর করে কম্পিউটারে পাঠাই। ৮ বিট এর সংমিশ্রণে একটি ক্যারেক্টারকে (কম্পিউটারের ভাষায় বর্ণকে ক্যারেক্টার বলা হয।)
প্রকাশ করা হয়। এই ৮ বিটকে একসাথে বাইট (Byte) বলা হয়। অর্থ্যাৎ এক বাইট বা আট বিটের সমন্বয়ে একটি অক্ষর প্রকাশ পায়।
ফিল্ড:
কয়েকটি অক্ষর নিয়ে ফিল্ড গঠিত হয়। রেকর্ডের ক্ষুদ্রতম অংশ হচ্ছে ফিল্ড। রেকর্ডের প্রতিটি উপাদান এক একটি ফিল্ড হিসেবে থাকে। ফিল্ড সাধারনত কলাম হেডিং হিসেবে থাকে। Title, First-name, Second-name, department ইত্যাদি প্রতিটি এক একটি ফিল্ড। ফিল্ড একটি কলামের ডাটার প্রতিনিধিত্ব করে।
রেকর্ড
বা
তথ্য
(Information):
এক বা একাধিক ফিল্ডের সমন্বয়ে গঠিত হয় রেকর্ড। পাশের টেবিলে দেবাশীষ এর তথ্য গুলো উপস্থাপিত হয়েছে। সরবরাহ কৃত ডেটা থেকে প্রক্রিয়াকরণের পর চাহিদার প্রেক্ষিতে সু শৃঙ্খল যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে ইনফরমেশন বা তথ্য বলা হয়।
টেবিল
বা
ফাইল:
পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত কতকগুলো রেকর্ডের সমন্বয়ে গঠিত হয় টেবিল বা ডেটা ফাইল। যেমন একটা কোম্পানীর কর্মকর্তা কর্মচারীর ফাইল, কোম্পানীর ক্লায়েন্টের নাম ফাইল, কোম্পানীর সেবার তালিকা ফাইল ইত্যাদি। একাধিক টেবিল বা ফাইল নিয়ে গঠিত হয় ডাটাবেজ। এম. এস. এক্সেস এর ডাটাবেজ মানেই টেবিলের সমাহার।
ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Database Management System বা DBMS):
হাজার হাজার উপাত্তকে কম্পিউটারের মাধ্যমে সহজে ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনার করার জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার লাগে। এসব সফটওয়্যারকে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা DBMS বলে। অর্থ্যাৎ ডাটা ম্যানেজমেন্ট করার জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, তাকে
DataBase Management System বা DBMS বলে।
যে সফটওয়্যারের সাহায্যে কোনো ডেটা সংরক্ষণ করে প্রয়োজন অনুসারে ঐগুলো সাজানো বা অন্য কোন কাজে লাগানো যায় তাকে ডাটাবেজ সফটওয়্যার বলে। বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি ডিবিএমএস সফটওয়্যার হলো-
MySQL, Microsoft Access, Oracle, dBASE ইত্যাদি।
ডাটাবেজ হিউম্যনওয়্যার:
ডাটাবেজ ম্যানেজেমেন্ট সিস্টেমে মোট তিন ধরনের হিউম্যান থাকে।
০১.
ডাটাবেজ
ডিজাইনার
একজন ডেটাবেজ ডিজাইনার ডাটাবেজ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখেন। ডাটাবেজ ডিজাইনার প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখেন। সাধারনত ডাটাবেজের মূল সেটিং ডিজাইনার করে থাকেন যেমন টেবিল, ইনডেক্সিং, ডাটা সংরক্ষণ পদ্ধতি, ডাটা মুছে ফেলা বা ডিলিট করার পদ্ধতি ইত্যাদি সেটিং করে থাকেন। কোন প্রতিষ্ঠান ডেটাবেজ ডিজাইন করার সময় অভিজ্ঞ ডেটাবেজ ডিজাইনার
কে হায়ার বা ভাড়া করে নিয়ে আসে। অভিজ্ঞ ডিজাইনার দ্বারা ডাটাবেজ ডিজাইন করেন।
০২.
ডাটাবেজ এডমিনিস্ট্রেটর
ডাটাবেজ এডমিনিস্ট্রেটর এমন একজন ব্যাক্তি বা ব্যাক্তির গ্রুপ যারা তথ্য প্রযুক্তি
বিদ। যারা ডাটাবেজ সিকিউরিটি প্রদান করে থাকে। ডাটাবেজে কে প্রবেশ করতে পারবে, কে পারবে না তা ঠিক করে। ডাটাবেজের সুষ্ট পরিবেশ বজার রাখে। ডিবিএমএস ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তা এডমিন গ্রুপ ঠিক করবে। ডেটাবেজ প্রতিষ্ঠান স্থায়ী এডমিন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
০৩.
ডাটাবেজ ইউজার
ডেটাবেজ ইউজার সাধারনত ডেটাবেজ সিস্টেমে ডাটা প্রবেশ করতে পারে. ডাটা ভিজিট করতে পারে। এছাড়া নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থেকে আরও সামান্য কিছু কাজ করতে পারে। যেমন চাকরির আবেদন করার সময় আবেদনকারী শুধু মাত্র ডাটা এন্ট্রি এবং
দেখতে পারে। ফলাফল দেখার সময় রোল নাম্বার দিয়ে ডাটাবেজ হতে নির্দিষ্ট ডাটা দেখতে পারি।
No comments:
Post a Comment
Thank for your comment